স্বদেশ ডেস্ক:
উদ্ভিদ স্বাস্থ্য গঠন বা স্বাস্থ্য সুরক্ষায় মোটেও সরাসরি ভূমিকা পালন করে না। তবে উদ্ভিদের মধ্যে যেসব খাদ্যগুণ বিদ্যমান রয়েছে, তা দেহের রোগ-প্রতিরোধক এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। গাজরের আরেক নাম সুপার ফুড। বিশেষ করে শীতকালে সাধারণ রোগ থেকে মুক্ত থাকতে সবচেয়ে ভালো সবজি হলো গাজর। গাজরের ঔষধি গুণ অনেক।
গাজর রোগ উপশমকারী কিংবা কোনো ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয় না। তবে এটি অত্যন্ত পুষ্টিকর খাদ্য। শরীরের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো ছাড়াও স্বাস্থ্য রক্ষায় সবজিটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
গাজরের ঔষধি গুণ : অন্ত্রনালি পরিষ্কারক, ডায়রিয়া প্রতিরোধক, বমিরোধক, রক্ত পরিষ্কারক ও রক্তবর্ধক, (ক্ষারীয় উপাদান) খনিজ পদার্থের অভাব পূরণকারী, দৃষ্টিশক্তিবর্ধক, দেহে অ্যাসিড ও ক্ষারের সমতা রক্ষাকারক, শান্তকারক এবং লিভার টনিক। মুখের ক্ষতিকর জীবাণুনাশক (খাবার গ্রহণের পর গাজর চিবিয়ে খেলে), দাঁত পরিষ্কার করে, দাঁত ও মাড়ির রক্তপড়া বন্ধ করে, টনসিলাইটিস ও কৃমিনাশক, ঘা ও ত নিবারক, স্মৃতিশক্তিবর্ধক, স্নায়ুশক্তিবর্ধক, পুরনো কাশি, আমাশয়, পুরনো কিডনি রোগ, কোষ্ঠকাঠিন্য, অ্যালার্জি থেকে রক্ষাকারক; হাত-পা ব্যথা, হাত-পায়ের অস্থিসন্ধি ফুলে যাওয়া, দুর্বল ও রুগ্ন শিশুদের আদর্শ খাদ্য, গর্ভবতীর খিঁচুনিরোধক, শিশুর অপুষ্টি ও শর্করার অভাব পূরণ করে, অন্ত্রনালির প্রদাহ প্রতিরোধক, গোলকৃমি এবং খুশকিনাশক হিসেবে কাজ করে। ভালোভাবে পরিষ্কার পানিতে গাজর ধুয়ে কাঁচা অথবা রান্না করে খেতে পারেন।